আ. লীগের প্রার্থী মনোনয়ন : বঞ্চিতদের বিদ্রোহী না হওয়ার ওয়াদা

ইফতেখারুল ইসলাম :


দক্ষিণ চট্টগ্রামের তিন উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিদ্রোহী না হওয়ার ওয়াদা করালো দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি বলেন, আমরা কোন ইউনিয়নে একক প্রার্থী নির্ধারণ করে দিইনি। আমরা চাই সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা থেকে যোগ্য ব্যক্তিকেই মনোনয়ন বোর্ড মনোনয়ন দেবেন। বাকিরা তার পক্ষে কাজ করবেন। তাই তাদের কাছ থেকে ওয়াদা নিয়েছি। তা প্রমাণস্বরূপ ভিডিও করে রেখেছি।

মোছলেম উদ্দিন আহমদ জানান, গত শুক্রবার প্রার্থীদের নামের তালিকা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অতীতের নির্বাচনে প্রতি ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের একজন প্রার্থীর নাম পাঠানো হত। কিন্তু কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ থেকে এবার নির্দেশনা ছিল কমপক্ষে তিনজনের নাম পাঠাতে হবে। তাই কোন ইউনিয়ন থেকে একক প্রার্থীর নাম পাঠানো হয়নি।

তিন উপজেলায় তৃণমূলের সভা করা হয়েছে। সভায় সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজেদের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন। পরবর্তীতে তাদের বায়োডাটা সংগ্রহ করা হয়েছে। তা উপজেলা আওয়ামী লীগের সমন্বয়ে যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। এরপর শর্টলিস্ট তৈরি করে তা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।তবে মনোনয়নের পর বিশৃঙ্খলা এড়াতে প্রতি উপজেলায় তৃণমূলের সভায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ওয়াদা নেয়া হয়েছে। কেউ মনোনয়ন না পেলে যেন বিদ্রোহী হিসেবে নির্বাচন না করেন। যিনি মনোনয়ন পাবেন তার পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে। সবাই ওয়াদা করেছেন।

প্রার্থী সংখ্যা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কর্ণফুলী উপজেলায় ৪ ইউনিয়নে অন্তত ১৫ জন, পটিয়ার ১৭ ইউনিয়নে প্রায় ১৮০ জন, লোহাগাড়ার ৬ ইউনিয়নে ৫০ জনের মত প্রার্থীর নাম গেছে। এর বাইরেও ঢাকা থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে সেখানে জমা দেয়ার সুযোগ রয়েছে। তাই প্রার্থীর সংখ্যা বাড়তে পারে।

এদিকে, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ থেকে বিদ্রোহীদের বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়। তাতে বলা হয়, সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ প্রেরিত রেজুলেশন, প্রার্থীদের তালিকা এবং আবেদনকারীদের প্রদত্ত তথ্য-উপাত্ত ও মাঠ জরিপের ভিত্তিতে মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

এরপরও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও সংযোগী সংগঠনের কিছু নেতা প্রতিদ্বন্দ্ব প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সংঘাত সৃষ্টি করছে। এধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সংগঠনের নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারা অনুযায়ী সকল বিদ্রোহী এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।